মিড ডে মিল এর চাল চুরির অভিযোগ : কাঠগড়ায় বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

9th July 2020 7:44 pm বাঁকুড়া
মিড ডে মিল এর চাল চুরির অভিযোগ : কাঠগড়ায় বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : এবার মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ উঠল স্বয়ং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে |

স্কুলের মিড ডে মিলের চাল ডাল আলু চুরির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে স্কুলে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবকরা | করুণাময় পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষ এক অজানা সংকটের মুখে আর এই সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার এরই পাশাপাশি স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের পড়ুয়াদেরও পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার | রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী এবার সেখানেই ধরা পরল মারাত্বক দুর্নীতি | প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাল ডাল আলু কম দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে স্কুলের একটি রুমে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা |
 ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার মরার পঞ্চায়েতের যমুনা বাদ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে | অভিভাবকদের অভিযোগ যেখানে দু কেজি চাল দু কেজি আলু আড়াইশো মুসুরির ডাল দেওয়ার কথা সেখানে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে দেড় কেজি চাল আবার কাউকে 1 কেজি 700 গ্রাম চাল 170 গ্রাম ডাল ও দেড় কেজি আলু | খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এস আই অফ স্কুল ঈশিতা ব্যানার্জি | তারা যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং চাল চুরির ঘটনা সত্য কিনা খতিয়ে দেখেন | এক অভিভাবক বলেন আমরা চাল ডাল আলু বাড়ি নিয়ে যায় , কিন্তু আমাদের সন্দেহ হওয়ায় ওজন করে দেখি সবকিছুতেই পরিমাণে কম রয়েছে , আমরা এই বিষয়ে শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই এই ধরনের শিক্ষক তাদের এলাকায় প্রয়োজন নেই বলে জানান তারা |
অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তবে তিনি বলেন গোষ্ঠীর মহিলারা ওজনে কম দিয়েছে , আমি চেয়েছিলাম গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বিষয়টা মিটিয়ে নেব | তবে এ বিষয়ে গোষ্ঠীর মহিলাদের জিজ্ঞাসা করা হলে গোষ্ঠীর এক মহিলা বলেন প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে ওজনে কম দিতে বলেছিলেন , তাই আমরা ওজনে কম দিয়েছি এখানে আমাদের কোন দোষ নেই |





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।